× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
বিদেশি ভাষার দাসত্ব করা যাবে না যতীন সরকার
google_news print-icon

বিদেশি ভাষার দাসত্ব করা যাবে না: যতীন সরকার

বিদেশি-ভাষার-দাসত্ব-করা-যাবে-না যতীন-সরকার
ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা রবীন্দ্রনাথকে চিনেছি। আমরা ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নজরুলের খণ্ডিতকরণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রচর্চা যেমন হয়েছে, তেমনি বাংলা ভাষাকে সঠিকভাবে ব্যবহারের যে চর্চা সেটিও হয়েছে। কাজেই এটি প্রকৃত প্রস্তাবে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন ছিল। সেই সাংস্কৃতিক আন্দোলনই একসময় রাজনৈতিক আন্দোলন এবং তারপরে সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামে পরিণত হয়েছে। এই সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মুক্তির সংগ্রামের কথা। এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত মুক্তির সংগ্রামে বিজয় লাভ করা।

অধ্যাপক যতীন সরকার আমাদের চেতনার অন্যতম বাতিঘর। তার মনীষা, দিকনির্দেশনা আমাদের আলো দেখায়। অসাম্প্রদায়িক-প্রগতিশীল চিন্তা ঋদ্ধ করে। স্বাধীনতা পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি পদকপ্রাপ্ত এ চিন্তাবিদ ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি, ভাষা-সংস্কৃতি ও এর বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন নেত্রকোনা প্রতিনিধি অনিন্দ্য পাল চৌধুরী।

প্রশ্ন: ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে বাংলা ভাষা নিয়ে আমরা একটু বেশি সরব হই। সারা বছর এ নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য পরিলক্ষিত হয় না। এ বিষয়ে আপনি কী ভাবেন?

উত্তর: একুশের চেতনা নিয়ে আমরা অনেক বড় বড় কথা বলি। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি মাস এলেই সর্বত্র এসব কথা শোনা যায়। কিন্তু একুশের চেতনাকে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার জন্যে প্রশাসন থেকে আরম্ভ করে অন্যান্য মানুষ বিশেষ করে হঠাৎ বিত্তশালী হওয়া ব্যক্তিদের কোনো গরজ চোখে পড়ে না। গরজ তো করেনই না বরং একুশের চেতনাবিরোধী কাজ তারাই করেন। সেই অপকমের্র মধ্যে একটি হচ্ছে ইংরেজিমাধ্যম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা এবং ওই মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের পড়ানো। সন্তানদের বাংলা ভাষা ভালোভাবে শেখানোর যে ব্যাপারটা, সেটিও তারা করেন না। কাজেই এই অবস্থাতে একুশের চেতনা বাস্তবায়নের কথা মুখে বলা একেবারে অনর্থক।

প্রশ্ন: অনেকে বলে থাকেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চায় সমস্যা আছে, সেক্ষেত্রে আপনি কী বলবেন?

উত্তর: বিশ্বের সব জ্ঞান-বিজ্ঞানকে আমাদের ভাষায় নিয়ে আসতে হবে, করতে হবে মানসম্মত পরিভাষা ও অনুবাদ। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ইংরেজি ভাষার চর্চা ভালোভাবে করতে হবে। অন্য একটি ভাষা ভালো করে শিখলে সেই ভাষায় খুব তাড়াতাড়ি অনুবাদ করা যায়। আসল কথা হলো এটা কোনো অনুবাদই নয়। অন্য ভাষায় চিন্তা করা যায় না। চিন্তার ভাষা হচ্ছে মাতৃভাষা। ইংরেজির সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে আমরা পরিচিত। কাজেই ইংরেজি ভাষাটাও ভালো করে শিখতে হবে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই ইংরেজির দাসত্ব করা চলবে না; কিংবা বিদেশি ভাষার দাসত্ব করা যাবে না।

প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনের অন্তর্নিহিত চেতনা প্রসঙ্গে যদি কিছু বলেন।

উত্তর: ভাষার যে আন্দোলন সেটা মূলত সাংস্কৃতিক আন্দোলনই ছিল। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা রবীন্দ্রনাথকে চিনেছি। আমরা ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নজরুলের খণ্ডিতকরণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রচর্চা যেমন হয়েছে, তেমনি বাংলা ভাষাকে সঠিকভাবে ব্যবহারের যে চর্চা সেটিও হয়েছে। কাজেই এটি প্রকৃত প্রস্তাবে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন ছিল। সেই সাংস্কৃতিক আন্দোলনই একসময় রাজনৈতিক আন্দোলন এবং তারপরে সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামে পরিণত হয়েছে। এই সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন মুক্তির সংগ্রামের কথা। এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত মুক্তির সংগ্রামে বিজয় লাভ করা।

প্রশ্ন: মাতৃভাষার উন্নতিকল্পে কী করণীয়?

উত্তর: মানুষ যে ভাষায় চিন্তা করে সেই ভাষায় কথা বলে। মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কেউ চিন্তা করতে পারে না। কাজেই আমাদের মাতৃভাষার উন্নতির জন্য করণীয় সব কিছু করা উচিত। বাংলা ভাষাকে সত্যিকার অর্থে প্রচার করতে হলে বিদেশি ভাষাকেও ভালো করে জানতে হবে। এ ছাড়া বাংলা ভাষার ব্যাপক প্রচার করার আর কোনো বিকল্প নেই।

প্রশ্ন: আপনার স্মৃতি থেকে ভাষা আন্দোলনের কথা জানতে চাই।

উত্তর: ঘটনা ঢাকায় ঘটলেও এটা যে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল সেটার সাক্ষী আমি। তখন আমি দশম শ্রেণির ছাত্র। আমি স্কুল থেকে বের হয়ে গিয়ে বসুরবাজারে হরতাল করি। এলাকার সমস্ত মানুষ সেই হরতালে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয়। এভাবে প্রত্যেকটা গ্রামের বাজারে বাজারে হরতাল হয়। সবখানে যখন একুশের ইতিহাস ও ঘটনার কথা লেখা হয়, তখন সেটা বড়জোর মহকুমা পর্যন্ত এসে থেমে যায়। যদি গ্রামাঞ্চলে কৃষকদের মধ্যে, কৃষকদের সন্তানদের মধ্যে চেতনা বিস্তৃত না হতো, তাহলে একুশ এত বিস্তৃত হতে পারত না।

প্রশ্ন: একুশের চেতনায় যে সাংস্কৃতিক ধারা সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি কি বর্তমান প্রবাহিত বলে মনে করেন?

উত্তর: আমরা সবাই বলি একুশের চেতনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা লাভ করেছি। একটা স্বাধিকার সংগ্রাম আমরা করেছি। একুশের চেতনার মধ্য দিয়ে একটা সাংস্কৃতিক সংগ্রাম তৈরি হয়েছিল। এখন সেই সাংস্কৃতিক ধারাটা বদলে গেছে। আমরা একুশের চেতনাকে মুখে মুখে বলি। একুশে ফেব্রুয়ারি আসলেই অনেক কথা বলি। কিন্তু একুশের চেতনাকে বাস্তবায়নের জন্য যথার্থ অর্থে বাংলা ভাষার যে সর্বত্র ব্যবহার এবং আমাদের সংবিধানে যে রাষ্ট্রভাষা বাংলার কথা বলা হয়েছে, তা সবখানেই বাস্তবায়িত হয়নি। বরং আজকে কিছুসংখ্যক মানুষ ইংরেজি মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের পড়াতে পারলে বিশেষ খুশি হন। ইংরেজিমিশ্রিত ভাষা বলার চেষ্টা চলছে; যেটাকে বাংলিশ বলা যায়।

প্রশ্ন: আপনার মতে একুশের চেতনা কীভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব?

উত্তর : একুশের চেতনা যদি সত্যি সত্যি বাস্তবায়ন করতে চাই, তাহলে আমাদের সব জায়গায় বাংলা ভাষা যাতে প্রয়োগ হয়, সেই ব্যবস্থাটি আগে করতে হবে। অফিস-আদালতে বাংলা ভাষার ব্যবহার করতে হবে। বিচারকদের বাংলায় রায় দিতে হবে। সবখানে বাংলা যদি প্রয়োগ না হয় বা বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয় চালু না হয়, তবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিচর্চা হুমকিতে পড়বে। ইংরেজি ভালোভাবে শেখার ব্যবস্থা বাংলা মাধ্যমেই সম্ভব। ইংরেজি ভালোভাবে শিখে এসে সেই বাংলা মাধ্যমে প্রচার করার ব্যবস্থা করতে হবে। এটি না করলে প্রকৃত অর্থে একুশের চেতনার বাস্তবায়ন আমরা করতে পারব না। একুশের ইতিহাস সঠিকভাবে লেখা হোক। চেতনা জাগ্রত হোক, এটাই ভাষার মাসে সবচেয়ে আমার বড় চাওয়া। একুশের চেতনা জাগ্রত করতে হলে একটা সাংস্কৃতিক আন্দোলন করতে হবে। যেমন ৬০-এর দশকে গড়ে উঠেছিল। সেই রকম একটা সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া একুশের চেতনাকে জাগ্রত করা এবং সবখানে প্রসারিত করা সম্ভব হবে না।

প্রশ্ন: নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ

উত্তর: ধন্যবাদ।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Give information to the BGB to prevent the infiltration of illegal weapons

অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিকে তথ্য দেওয়ার আহবান

অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিকে তথ্য দেওয়ার আহবান

সম্প্রতি জানা যায় যে, কিছু অসাধুচক্র দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র অনুপ্রবেশ করানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৩ মাসে বিজিবি ১৬টি দেশি-বিদেশি পিস্তল, ০২টি রিভলভার, ০২টি এসএমজি, ০৫টি রাইফেল, ১৬টি দেশীয় বন্দুক, ০৩টি শর্টগান, ০৩টি মর্টার শেল, ০৮টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ২৭টি অন্যান্য অস্ত্র, ২১টি ম্যাগাজিন এবং ১০০৩ রাউন্ড বিভিন্ন অস্ত্রের গোলাবারুদ জব্দ করেছে।

সীমান্ত দিয়ে দেশে অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা ও আভিযানিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির টোল ফ্রি ০১৭৬৯৬০০৫৫৫ নাম্বারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করা যাচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Chief Advisor awarded the Youth Volunteer Award to 12 youths 

প্রধান উপদেষ্টা ১২ তরুণকে ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করলেন 

প্রধান উপদেষ্টা ১২ তরুণকে ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করলেন 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ ১২ তরুণকে ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করেছেন। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ ও তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণামূলক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ বছর পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে তরুণদের এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারও রয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Madaripur Sadar Parapur is making public suffering from the sandy sand business

মাদারীপুর সদরের পেয়ারপুরে জনদূর্ভোগ তৈরী করে চলছে রমরমা স্তূপকৃত বালুর ব্যবসা

মাদারীপুর সদরের পেয়ারপুরে জনদূর্ভোগ তৈরী করে চলছে রমরমা স্তূপকৃত বালুর ব্যবসা

মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের রাস্তার পাশে জনবসতি এলাকায় বালুর স্তূপ করে চলছে রমরমা ব্যবসা। সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের প্রভাবশালী, অর্থ-বিত্ত-বৈভবের মালিক ইলিয়াস ব্যাপারী গং এ ব্যবসা চালিয়ে জনদূর্ভোগ তৈরী করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটা থেকে শুরু করে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেক পরিবার গৃহহীণ হওয়ার উপক্রম। এ পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

​পেয়ারপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী ইলিয়াস ব্যাপারী জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বালু বিক্রি করছেন। এর ফলে আঞ্চলিক সড়কগুলো বালুর স্তূপে বেশীরভাগ সময় অবরুদ্ধ থাকে, যা পথচারী ও যানবাহন চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। ​ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নুরুল হক জমাদ্দার জানান, বালু ব্যবসাস্থলের জমি নিয়ে আমাদের আদালতে মামলা চলছে, বালু ব্যবসার আড়ালে বেরিকেড, কাদাপানি সহ বিভিন্ন সমস্যা তৈরী করে কৌশলে আমাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার জন্য বাড়ির সামনে বালুর স্তূপ করে রেখে রমরমা অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছেন ইলিয়াস ব্যাপারী গং। এ কারণে চলাফেরা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বালুর স্তূপ করে চলাচলের রাস্তা টুকু বন্ধ্ করে দেয়া হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বালুর সাথে পানি মিশে কাদা হয়ে যায় এবং পানি সরাসরি আমাদের ঘরে ঢুকে যায়। পানির কারনে আমাদের বাড়ি-ঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উক্ত এলাকায় আরেকজন বাসিন্দা আঃ আজিজ জমাদ্দার বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা ঠিকঠাকমতো স্কুলে যেতে পারে না, কারণ রাস্তা পুরোটাই পানি ও বালুতে ভরা থাকে। আমরা একাধিকবার আমাদের অসহনীয় দূর্ভোগের কথা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি, তারা এখানে এলে সাময়িকভাবে তা বন্ধ করা হয় এবং চলে গেলে আবার তা চালু করা হয়। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আদালতের কাছে আইনি প্রতিকার চেয়েছি।

​ তারা অবিলম্বে এ অবৈধ বালু বিক্রি ও দূর্ভোগ তৈরীকারী ব্যবসা বন্ধ বা অন্যত্র সরিয়ে নিতে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এলাকার মানুষের দাবি বালুর ব্যাবসা বন্ধ করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেয়া হোক।

​এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং আদালতের নির্দেশনা পেলে সে মোতাবেক দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

​স্থানীয়রা এখন তাকিয়ে আছেন আদালতের দিকে। কেননা আদালত তাদের আস্থার ও ন্যায়বিচার পাওয়ার স্থল- যেখানে তাদের আশা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তারা এ দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে বালু ব্যবসায়ী ইলিয়াস ব্যাপারী কাছে এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে কল করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Madhabpur the locals were injured in the bite of the mad dog

মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী!

মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী!

হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক পাগলা কুকুরের কামড়ে এ পর্যন্ত অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।উপজেলার চৌমুহনি ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে শিশুসহ পুরো গ্রামবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু-কিশোররা ভয়ে স্কুলে যেতেও সাহস পাচ্ছে না।এ নিয়ে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একটি মসজিদে পাগাল কুকুরটি থেকে সাবধান থাকতে ও একে নিধন করতে মসজিদে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়।

আহতদের মধ্যে মিলাদ মিয়া ও মনোয়ারা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ এক কুকুর গ্রামে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি কামড়ে একের পর এক মানুষকে আহত করে। আতঙ্কের মাত্রা বাড়তে থাকায় গ্রামবাসীকে সতর্ক করতে মসজিদে মাইকিং করা হয়। তবে কুকুরটিকে এখনও আটক বা নিধন করা যায়নি।

স্থানীয় সেলিম মিয়া বলেন, “পাগলা কুকুরের ভয়ে আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না।কুকুরটির লাল বর্ণের কুকুরি। আমরা মসজিদ থেকে মাইকিং করেছি। সরকারি উদ্যোগে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।”

এ বিষয়ে মাধবপুরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিঠুন সরকার জানান, “কুকুরকে ধরে র‌্যাবিস টিকা দেয়ার প্রযুক্তি আমাদের নেই। এটি বন বিভাগ করলে করতে পারে। আপাতত এলাকাবাসীকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

এদিকে গ্রামবাসী দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ ও স্থায়ী সমাধান দাবি করেছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The body of the missing businessman in Comilla recovered

কুমিল্লায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লা নগরীতে নিখোঁজের একদিন পর রেল সড়কের পাশ থেকে জামশেদ ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় শহরতলীর পালপাড়া রেললাইনের পাশের একটি ঝোপ থেকে পুলিশ ওই মরদেহ উদ্ধার করে। জামশেদ ভূঁইয়া কুমিল্লা নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালিয়াজুরী ভূঁইয়া বাড়ির সাবেক কমিশনার প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুস ভূঁইয়া তৃতীয় পুত্র।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে মাগরিবের নামাজ আদায় করার জন্য বের হন জামশেদ। এরপর তিনি বাসায় ফেরেননি। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। রোববার বিকেলের পর রেললাইনের পাশে একটি ঝোপে ওই ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মরদেহ শনাক্ত করে।

রাতে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম সমকালকে বলেন, নিখোঁজের বিষয়ে শনিবার রাতে জামশেদ ভূঁইয়া ভাই থানায় অভিযোগ করেছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। তবে ওই ব্যক্তির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এখনো মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। সোমবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The unhappy court to investigate the investigation and asked to do

তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট আদালত ‘আপ্রাণ চেষ্টা’ চালাতে বললেন

তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট আদালত ‘আপ্রাণ চেষ্টা’ চালাতে বললেন

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তা শেষ করতে ‘আপ্রাণ চেষ্টার’ তাগিদ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান প্রতিবেদনের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

এ নিয়ে সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১২১তম বার পেছান হলো। আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল আদালতে উপস্থিত হন। বেলা ১২টা ১০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। আদালত আজিজুলের কাছে জানতে চান, তিনি সিআইডিতে আছেন কিনা? আজিজুল জানান, পিবিআইতে আছেন।

আদালততদন্তের অগ্রগতি কতদূর?

কর্মকর্তা– উচ্চ আদালতের নির্দেশে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়। এরপর আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তদন্তের। আমি এই মামলা সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ও ডিএনএ এক্সপার্টদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। দুজনের মিক্সড ডিএনএ তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এসব কারণে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হচ্ছে। কিছুদিন আগে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় পার হলেও উচ্চ আদালত থেকে আরও সময় নেওয়া হয়েছে।

বিচারক– যা বুঝলাম, এই মামলার আগের তদন্ত কর্মকর্তা যিনি ছিলেন, তিনিও একই কথা বলেছেন। আপনার তদন্তের অগ্রগতিতে আদালত অসন্তুষ্ট। আপনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান মামলা করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Locals gave the schoolgirl to the police

স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, ৫ বখাটেকে পুলিশে দিল এলাকাবাসী

স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, ৫ বখাটেকে পুলিশে দিল এলাকাবাসী

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে পাঁচ বখাটে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে উপজেলার ষাইট ঘর তেওতা বটতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের সাতুরিয়া গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরান শেখ ৩), একই এলাকার আলী চাঁনের ছেলে আশিক খাঁ (২৪), পার্শ্ববর্তী চরধুবলীয়া গ্রামের মৃত বিষা খাঁর ছেলে শিপন খাঁ (২৪), পয়লা গ্রামের তোতা শেখের ছেলে ইয়াছিন শেখ (২২) এবং ভাঙ্গাবাড়ি এলাকার মৃত আজাহার আলীর ছেলে ফরিদ শেখ (২০)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্য়াতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী তার বান্ধবীর সঙ্গে রবিবার বিকালের দিকে স্কুল থেকে বাসায় ফিরছিল। পথিমধ্যে আরিচা-জাফরগঞ্জ সড়কের ষাইট ঘর তেওতা আবুলের বটতলা মোড় এলাকায় ইমরান, আশিক, শিপন, ইয়াসিন এবং ফরিদ নামের পাঁচজন বখাটে ওই ছাত্রীকে গতিরোধ করে। এসময় তারা তাকে ওড়না ধরে টান দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ঘটনার আকস্মিকতায় ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার বান্ধবী আত্মচিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার ও বখাটের আটক করে।

এসময় উত্তেজিত হয়ে লোকজন তাদের পিটিয়ে শিবালয় থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, ইভটিজিংয়ের দায়ে পাঁচ বখাটেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আজ সোমবার তাদের আদালতে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিবালয় থানা পুলিশ ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স রয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে